জেনে নিন দেবুথানী একাদশীর দিন কী করবেন আর কী করবেন না

সনাতন ধর্মে একাদশী তিথির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কথিত আছে যে দেবশয়নী একাদশীতে ভগবান বিষ্ণু শয়ন করেন এবং চার মাস পর দেবুথানী একাদশীর দিনে যোগ নিদ্রা থেকে জেগে ওঠেন। দেবুথানী একাদশীর দিন থেকে তিনি সৃষ্টির দায়িত্ব নেন।

এই দিন থেকে সমস্ত শুভকাজ শুরু হয়। কথিত আছে যে এই দিনে যে ব্যক্তি উপবাস করেন তিনি বৈকুণ্ঠ লাভ করতে পারেন এবং সমস্ত দুঃখ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। একাদশীর উপবাসের সওয়াব পেতে হলে কিছু নিয়ম জেনে রাখা জরুরি।

আসুন এই প্রবন্ধে জ্যোতিষী পণ্ডিত অরবিন্দ ত্রিপাঠির কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক, দেবুথানী একাদশীর দিন কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়।

দেবুথানী একাদশীর দিন এই কাজটি করুন

দেবুথানী একাদশীর দিনে ব্রহ্ম মুহুর্তে স্নান করে উপবাসের ব্রত নিতে হবে।
সংকল্প গ্রহণের পর ভগবান বিষ্ণুকে জাফরান ও দুধ দিয়ে অভিষেক করতে হবে এবং তাঁর আরতি করতে হবে।
একাদশীর দিন, ভগবান বিষ্ণুকে (ভগবান বিষ্ণু মন্ত্র) সাদা রঙের মিষ্টি নিবেদন করা উচিত। এতে তিনি খুশি হন এবং তাঁর বিশেষ আশীর্বাদও বজায় থাকে।
এই একাদশী তিথিতে শুধুমাত্র নির্জলা উপবাস পালন করা উচিত। এটি আরও সুবিধা দেয়।
দেবুথানী একাদশীর দিন ভগবান বিষ্ণুর মন্ত্র ও স্তোত্র জপ করতে হবে।
দেবুথানী একাদশীর দিন ভজন ও কীর্তন করতে হবে। এতে সকল দেব-দেবী প্রসন্ন হতে পারেন।